আলহাজ্ব আব্বাস উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়

ALHAZ ABBAS UDDIN HIGH SCHOOL

EIIN-108197 01309-108197
logo

| ইতিহাস |

সমাজে অনেক বিত্তবান ব্যক্তি রয়েছেন, যাঁরা তাদের অর্থ-সম্পদ নিজের ও পরিবারের স্বার্থে ব্যয় করে বিলাস-বহুল জীবন যাপন করেন। কিন্তু তাদের মধ্যে খুব কম সংখ্যক হৃদয়বান, দানবীর ও দূরদৃষ্টি সম্পন্ন ব্যক্তি পাওয়া যায়, যাঁরা সমাজের জন্য, সমাজের সাধারণ মানুষের জন্য নিজের অর্থ-সম্পদ ব্যয় করে জন কল্যাণমূলক কিছু প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে চিরস্মরণীয় ও বরণীয় হয়ে থাকেন।
আর তেমনি একজন দানবীর, সুহৃদয়বান, সমাজসেবক ও মিরপুরের স্থায়ী বাসিন্দা মরহুম আলহাজ্ব আব্বাস উদ্দিন আহমদ মিরপুর-১১ নং সেকশনে সাধারণ জনগণের কথা চিন্তা করে এবং এই এলাকায় একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে পরামর্শক্রমে সম্পূর্ণ একক দানে ১৯৮৩ সালে আলহাজ্ব আব্বাস উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন।



১৯৮৪ সালের জানুয়ারি থেকে বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম শুরু হয় এবং ০১-০১-১৯৮৪ তারিখ থেকেই শিশু শ্রেণি থেকে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত জুনিয়র স্কুল হিসেবে স্বীকৃতি প্রাপ্ত হয়। ১৯৮৬ সাল থেকে ৯ম শ্রেণি খোলার অনুমতি লাভ করে এবং ১৯৯৪ সাল থেকে পূর্ণাঙ্গ মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে।

অন্যদিকে, ১৯৮৪ সালের পহেলা জানুয়ারি থেকে জুনিয়র স্কুল হিসেবে এমপিও ভূক্ত হয় এবং ১৯৯৪ সাল থেকে মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসেবে এমপিও ভূক্ত হয়। বর্তমানে চার দেয়ালে ঘেরা সবুজবৃক্ষে সুশোভিত সুন্দর ও মনোরম পরিবেশে প্লে থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত শিখন-শিক্ষণ কার্যক্রম চলছে, নিরাপত্তা ও নজরদারির জন্য শ্রেণিকক্ষে স্থাপন করা হয়েছে সিসি ক্যামেরা এবং সামগ্রিক ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে School Management Software দ্বারা । শেষটায়, বিদ্যালয় থেকে পিএসসি, জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে শিক্ষার্থীরা কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল অর্জন করে আসছে।

শিক্ষাই সম্পদ

শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড। শিক্ষা ছাড়া কোন প্রকার উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আধুনিক শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে মানব সম্পদ হিসেবে গড়ে তোলাই আমাদের প্রতিষ্ঠানরে মূল লক্ষ্য।

সৃজনশীল শিক্ষা

প্রতিটি শিশুই অসম্ভব প্রতিভা নিয়ে জন্ম গ্রহণ করে। সৃজনশীল শিক্ষাই পারে কেবল শিশুর সেই প্রতিভাকে প্রকাশ করবার পথ তৈরি করতে। শিক্ষার্থীকে তার প্রতিভা প্রকাশের ক্ষেত্র তৈরি করাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অন্যতম প্রধান কাজ। অত্র প্রতিষ্ঠান বরাবরই এ বিষয়ে বিশেষ আন্তরিক।

প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষা

বর্তমান বিশ্ব তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি নির্ভর। আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে আমাদের শিক্ষার্থীদেরকেও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে দক্ষ হতে হবে। বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত আমাদের রয়েছে একটি উন্নত মানের কম্পিউটার ল্যাব, যেখানে শিক্ষার্থীরা নিয়মিত কম্পিউটার প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাধ্যমে স্কুল লেভেল থেকেই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি তথা কম্পিউটার সম্পর্কিত দক্ষতা অর্জন করছে।

সহশিক্ষা কার্যক্রম

কেবলমাত্র পুথিঁগত শিক্ষাই আজকের দিনের শিক্ষার্থীর জন্য যথেষ্ট নয়। শিক্ষা গ্রহণের পাশাপাশি বিতর্ক, সাংস্কৃতিক, নাট্যাভিনয়, ক্রীড়া ও রচনা প্রতিযোগিতা এবং অন্যান্য লেখালেখির চর্চা ইত্যাদি মেধা বিকাশে সহায়ক ক্ষেত্রগুলো একজন শিক্ষার্থীর জন্য অত্যন্ত জরুরী। আমাদের বিদ্যালয়ে রয়েছে শিক্ষার্থীর সেই সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের পর্যাপ্ত সুযোগ।

নারী শিক্ষা

এক বিংশ শতাব্দিতে নারী শিক্ষাকে অবজ্ঞা করে সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে উন্নয়ন এক প্রকার অসম্ভব। তাই নারী শিক্ষার প্রসারে আমাদের বিদ্যালয় সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে থাকে। যে কারণে বিদ্যালয়ে ছাত্রীর সংখ্যা সর্বদাই তুলনামূলকভাবে ছাত্রদের চেয়ে বেশি থাকে। শুধু তাই নয়, আমরা বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের শিক্ষার পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণের জন্য সর্বোচ্চ উৎসাহ ও সুযোগ প্রদানের ক্ষেত্রে অধিক গুরুত্ব দিয়ে থাকি।

নিরাপত্তা

শিক্ষার পরিবেশ ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে বিদ্যালয়ের প্রতিটি শ্রেণিকক্ষে ও বিশেষ বিশেষ জায়গায় ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা (সিসি ক্যামেরা) স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিটি শিক্ষার্থীর নিরাপদ শিক্ষা জীবন আমাদের একান্ত কাম্য।